রিভার্স সুইং টেকনিক Quiz

রিভার্স সুইং টেকনিক Quiz

রিভার্স সুইং টেকনিক হলো একটি বিশেষ বোলিং কৌশল যা পুরনো বল ব্যবহার করে সাধারণ সুইংয়ের বিপরীতে কাজ করে। এই কুইজে রিভার্স সুইংয়ের উপর বিভিন্ন প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হয়েছে, যেমন রিভার্স সুইং কী, বল প্রস্তুতের উপায়, আদর্শ গতিবেগ, সঠিক গ্রিপ বজায় রাখার গুরুত্ব, এবং উপকারী পরিবেশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অতিরিক্তভাবে, এই কুইজে বিখ্যাত রিভার্স সুইং বোলার, ম্যাগনাস প্রভাব, কব্জির কোণের ভূমিকা, এবং প্রাথমিক পাণ্ডিতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটি রিভার্স সুইং টেকনিকের বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য উপকারী।
Correct Answers: 0

Start of রিভার্স সুইং টেকনিক Quiz

1. রিভার্স সুইং কি?

  • রিভার্স সুইং হল একটি বিচার যা পুরনো বলের সাহায্যে হয়, সাধারণ সুইংয়ের বিপরীতে।
  • রিভার্স সুইং হল একটি ধরণের ব্যাটিং কৌশল।
  • রিভার্স সুইং হল একটি বল সম্পূর্ণ নতুন বলের সাহায্যে হয়।
  • রিভার্স সুইং হল একটি বল যা কোন অভিন্ন গতির বল দিয়ে যায়।

2. রিভার্স সুইং এর জন্য বল প্রস্তুত করার উপায় কি?

  • বলটিকে মাটিতে ঘষুন এবং ডাস্ট কভার করুন।
  • পুরো বলটিতে একরকম জল লাগান।
  • বলটিকে সূর্যের আলোতে শুকাতে দিন।
  • একটি পাশে মলিন করুন এবং অন্য পাশে প্রাকৃতিক ক্ষতি করতে দিন।


3. রিভার্স সুইং করতে বলের আদর্শ গতিবেগ কত হওয়া উচিত?

  • ৬০ মাইল প্রতি ঘন্টা
  • ৯৫ মাইল প্রতি ঘন্টা
  • ৮৫ মাইল প্রতি ঘন্টা
  • ৭০ মাইল প্রতি ঘন্টা

4. রিভার্স সুইং এর জন্য বল কিভাবে ধরতে হয়?

  • বলের সিম ব্যাটসম্যানের দিকে রাখতে হয়।
  • বলের সিম স্লিপের দিকে রাখতে হয়।
  • বলের সিম পিছনের দিকে রাখতে হয়।
  • বলের সিম সামনে রেখে ধরা হয়।

5. রিভার্স সুইং এ কব্জির কোণের ভূমিকা কি?

  • কব্জি কোণ ৩০-৪০ ডিগ্রি থাকতে হবে।
  • কব্জি কোণ ২০-৩০ ডিগ্রি রাখতে হবে।
  • কব্জি কোণ ১০-৪০ ডিগ্রি থাকতে হবে।
  • কব্জি কোণ ১৫-২৫ ডিগ্রি থাকতে হবে।


6. রিভার্স সুইং এর জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ কি কি?

  • ঠাণ্ডা ও কোমল পিচ
  • শুষ্ক ও ক্ষ abrasive পিচ
  • মেটাল পিচ
  • সিক্ত ও নরম পিচ

7. বিখ্যাত রিভার্স সুইং বোলার কে কে?

  • ওয়াসিম আকরাম
  • শেন ওয়ার্ন
  • ব্রেট লি
  • অনিল কুম্বল

8. রিভার্স সুইং এর সাথে ম্যাগনাস প্রভাবের সম্পর্ক কি?

  • বলের দুই পাশে সমান গতি থাকা।
  • বলের প্রান্ত সোজা হওয়া।
  • বলের একপাশে পানি থাকলে।
  • বলের একপাশে তাড়াতাড়ি গতিতে বাতাসের বেগ বেশি হওয়া।


9. রিভার্স সুইং এ বলের খসখসে দিকের আবহাওয়ার প্রভাব কি?

  • শুষ্ক আবহাওয়া সহ নির্বাচন করা হয়
  • বাতাসের গতি বাড়ালে সুইং হয়
  • বৃষ্টি হওয়া বোলিংয়ের সুবিধা দেয়
  • আর্দ্র আবহাওয়া বোলিংকে সাহায্য করে

10. রিভার্স সুইং এ স seam এর অবস্থানের ভূমিকা কি?

  • সিমের সামান্য টিল্ট হওয়া।
  • সিমের অবস্থানের কোনো প্রভাব নেই।
  • সিমটিকে পুরোপুরি সোজা রাখা।
  • সিমে জল লাগানো।

11. রিভার্স সুইং এ সঠিক গ্রিপ বজায় রাখার গুরুত্ব কি?

  • সঠিক গ্রিপ গৃহীত বলের জন্য অপরিহার্য।
  • সঠিক গ্রিপ গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • সঠিক গ্রিপ ইয়র্কার বোলিংয়ের জন্য প্রয়োজন।
  • সঠিক গ্রিপ সঠিকভাবে রিভার্স সুইং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


12. বলের গতিবেগ রিভার্স সুইং এ কিভাবে প্রভাব ফেলে?

  • বল যখন লাফায় তখন রিভার্স সুইং হয়, এটা প্রভাব ফেলে।
  • বলের কঠোরতা বাড়ায় এবং সুইংকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা রিভার্স সুইং করে।
  • বলের বাতাস চলাচলে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করে, ফলে এটি রিভার্স সুইং সৃষ্টি করে।
  • বলের বিপরীত দিকে আক্রমণ বাড়ায়, যা রিভার্স সুইং করে।

13. রিভার্স সুইং বোলিং এর জন্য সাধারণ ভুল গুলি কি কি?

  • বলের সঠিক যত্ন নেওয়া
  • খুব বেশি দ্রুত বোলিং করা
  • নীরবতার সাথে বল বাড়ানো
  • পিছনে হাত সোজা করা
See also  লিফট ও পাওয়ার হিটিং Quiz

14. রিভার্স সুইং চলাকালে চাপের বেদরক পরিবর্তন কি?

  • চাপের নৈশ্য পরিবর্তন
  • চাপের অস্থির পরিবর্তন
  • চাপের উল্টোপ্রান্ত পরিবর্তন
  • চাপের সমান্তরাল পরিবর্তন


15. রিভার্স সুইং এর বায়োডাইনামিক প্রভাব কি?

  • বোলিংয়ে বলটি বিপরীত দিকে সেঁক দেওয়ার প্রভাব
  • বলের গতি প্রভাবিত না হওয়া
  • বলের উড়াল দিয়ে ব্যাটসম্যানের অভিমুখে যাওয়া
  • সরা সোজা গতি বজায় থাকার প্রভাব

16. সেমের অবস্থান রিভার্স সুইং এ বলের গতির উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে?

  • বলের মসৃণ দিক বিপরীত দিকে ঘোরায়।
  • বলের হালকা দিক প্রস্তুতি দেয় না।
  • বলের বুদ্ধিমত্তা আক্রমণ করে।
  • বলের গতিবিধি স্বাভাবিকতা ধরে রাখে।

17. রিভার্স সুইং শেখার জন্য বিভিন্ন অবস্থানে অনুশীলনের গুরুত্ব কি?

  • বিভিন্ন অবস্থানে প্র্যাকটিস করা চাইলে সঠিক নারী বোলার হতে হবে।
  • রিভার্স সুইং শেখার জন্য শুধুমাত্র গরম আবহাওয়া জরুরি।
  • রিভার্স সুইং শেখার জন্য একটি পুরনো বল থাকা প্রয়োজন।
  • বিভিন্ন অবস্থানে প্র্যাকটিস করলে বোলারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।


18. রিভার্স সুইং এর রাজা কে?

  • ওয়াসিম আকরাম
  • শাহিদ আফ্রিদি
  • ইমরান খান
  • সাঈদ আজমল

19. ক্রিকেটে রিভার্স সুইং এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট কি?

  • ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দ্বারা জনপ্রিয় হয়েছিল।
  • ১৯৮০ সালে ইংলিশ বোলারদের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল।
  • ১৯৭০ সালে পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারদের দ্বারা উত্পন্ন হয়েছিল।
  • ১৯৯০ সালে ভারতীয় বোলারদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল।

20. বলের অবস্থার রিভার্স সুইং এ প্রভাব কি?

  • বলের সুরক্ষার কারণে গতি কমে যায়
  • বলের গতির কারণে নামের পরিবর্তন
  • বলের অবস্থার কারণে চাপের পার্থক্য
  • বলের ওজনের কারণে ঐক্যবদ্ধতা


21. রিভার্স সুইং এ বায়বীয় প্রযুক্তির ভূমিকা কি?

  • জলবাহী প্রযুক্তি
  • ভ্যাকুয়াম প্রযুক্তি
  • পাওয়ার প্রযুক্তি
  • মার্কারি প্রযুক্তি

22. বোলারের গতিবেগ রিভার্স সুইং এ বলের গতির উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে?

  • বলের গতিবেগ কমিয়ে দেয়
  • বলের গতিবেগ বাড়িয়ে দেয়
  • বলের গতিবেগ দ্বিগুণ করে দেয়
  • বলের গতিবেগ অপরিবর্তিত রাখে

23. রিভার্স সুইং মাস্টার করার জন্য মূল কৌশলগুলি কি?

  • বলকে সবসময় জলে রাখুন
  • বলের উভয় পাশে ঘষা
  • সিমের দিকে তির্যক ধরানো
  • বলের একদিকে আঘাত করা


24. বলের এক পাশে চকচকে রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • বলের এক পাশে চকচকে রাখা বাতাসের গতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • বলের এক পাশে চকচকে রাখা ব্যাটিং গতি বাড়ায়।
  • বলের এক পাশে চকচকে রাখা গরম আবহাওয়ায় প্রযোজ্য।
  • বলের এক পাশে চকচকে রাখা ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করে।

25. বলের খসখসে দিকের বায়ু প্রবাহের সাথে সম্পর্ক কিভাবে?

  • বলের খসখসে দিকের বায়ু প্রবাহের কারণে বল ঘুরে যেতে পারে।
  • বলের খসখসে দিকের বায়ু প্রবাহের ফলে ব্যাটিং করা কঠিন হয় না।
  • বলের খসখসে দিকের বায়ু প্রবাহের কারণে বলকে ধরতে সহজ হয়।
  • বলের খসখসে দিকের বায়ু প্রবাহের ফলে বল নিচের দিকে চলে যায়।

26. বোলারের কব্জির অবস্থান রিভার্স সুইং এ কি ভূমিকা রাখে?

  • বোলারের কব্জির অবস্থান রিভার্স সুইং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • কব্জি উল্টো দিকে থাকলে রিভার্স সুইং হয়।
  • কব্জি যে কোনো অবস্থানে থাকলেও রিভার্স সুইং হয়।
  • কব্জির কোনো গুরুত্ব নেই রিভার্স সুইং এ।


27. নতুন ও পুরানো বল দিয়ে অনুশীলনের গুরুত্ব কি?

  • নতুন ও পুরানো বল দিয়ে অনুশীলন করলে খেলোয়াড়ের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • নতুন বল দিয়ে অনুশীলনে তাঁদের ব্যাটিং উন্নত হয়।
  • পুরানো বলের সাথে খেলতে হলে দলের মনোবল শক্তিশালী হয়।
  • পুরাতন বলের সঠিক ব্যবহার জানা অপরিহার্য নয়।

28. রিভার্স সুইং বোলিং এর প্রাথমিক পাণ্ডিতারা কে কে?

  • ইমরান খান
  • সৌরভ গাঙ্গুলি
  • কপিল দেব
  • ব্রায়ান লারা

29. রিভার্স সুইং এর জন্য উপকারী কন্ডিশনগুলি কি?

  • গ্রীষ্মকালীন ঠাণ্ডা আবহাওয়া
  • শুষ্ক এবং আব্রাহানক পিচ
  • তরুণ এবং নতুন বল
  • আদ্র এবং কোমল পিচ


30. রিভার্স সুইং এর জন্য বোলারের গতি বজায় রাখার গুরুত্ব কি?

  • গতি কম থাকলে বলটি দির্ঘ দৌড়ে ভালো আঘাত করবে।
  • বোলারের গতি বজায় রাখা নিশ্চিত করে যে বলটি যথাযথভাবে ঘুরবে।
  • বলের গতি বজায় রাখা এবং স্টাম্পে সুবিধা দেয়।
  • গতি কমালে বলটি ভালোভাবে সুইং হয়।

কুইজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে

আপনি ‘রিভার্স সুইং টেকনিক’ কুইজটি সম্পন্ন করেছেন! এই কুইজের মাধ্যমে আপনি রিভার্স সুইং বলের কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন তথ্য শিখতে পেরেছেন। ক্রিকেটে এই কৌশলের গুরুত্ব বোঝা এবং এর কার্যকরী উপায়গুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি আপনার খেলায় উন্নতি করতে সহায়ক হবে।

See also  ফাইনাল ম্যাচের টেকনিক Quiz

আমরা আশা করি, কুইজটি মধ্য দিয়ে আপনি রিভার্স সুইংয়ের প্রভাব এবং বিভিন্ন ধরনের বল করতে পারার জ্ঞান অর্জন করেছেন। এই কৌশলটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোলারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসাবে কাজ করে, এবং এর সঠিক ব্যবহার দলের সাফল্য নিশ্চিত করে। আশা করছি, এই কুইজের মাধ্যমে শিখা তথ্যগুলি আপনার খেলার দক্ষতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আপনার জ্ঞান আরও সম্প্রসারণের জন্য আমাদের পরবর্তী বিভাগে ‘রিভার্স সুইং টেকনিক’ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দেখতে ভুলবেন না। সেখানে আপনার জন্য অনেক তথ্য ও কৌশল অপেক্ষা করছে, যা হয়তো আপনাকে ক্রিকেট দুনিয়ায় আরও ভালোভাবে লাভবান করবে। আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং শিখতে থাকুন!


রিভার্স সুইং টেকনিক

রিভার্স সুইং টেকনিকের পরিচিতি

রিভার্স সুইং টেকনিক হল একটি বিশেষ বোলিং কৌশল যা ক্রিকেটে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত বলের একপাশে ঘষা এবং অপর পৃষ্ঠাকে সোজা রেখে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়া বলের গতিবিদ্যা পরিবর্তন করে। রিভার্স সুইং সাধারণত পেস বোলিংয়ে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে তীব্র গতির বল ছোঁড়ার পর। গতি বাড়লে বলটি বাঁক নেয়, যা ব্যাটসম্যানের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।

রিভার্স সুইং কীভাবে তৈরি হয়

রিভার্স সুইং তৈরি করার জন্য বোলারকে বলের একটি পৃষ্ঠায় বেশি ঘষা করতে হয়। এটি সাধারণত বলের একটি পাশকে চকচকে রাখার মাধ্যমে হয়। অন্য পাশটি রুক্ষ থাকে। যখন বলের গতি ৮০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বা তার অধিক হয়, তখন রিভার্স সুইং কার্যকর হয়। এই অবস্থায় বিস্তৃত গতিমার্গ তৈরি হয় এবং বলটি ব্যাটসম্যানের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়।

রিভার্স সুইংয়ের কার্যকারিতা

রিভার্স সুইং সফলভাবে ব্যবহৃত হলে এটি ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করে। বল যখন রিভার্স সুইং করে তখন এই ভঙ্গির জন্য ব্যাটসম্যান সঠিকভাবে বলটি ধরতে আছাড় খায়। ফলস্বরূপ, ব্যাটসম্যানের হিটিং স্বরূপ সে আউট হতে পারে। এই কৌশলের মাধ্যমে শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ পেস বোলাররা প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকা পালন করেন।

রিভার্স সুইং বোলারের খেলা এবং কৌশল

রিভার্স সুইংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট বোলিং কৌশল প্রয়োজন। বোলারকে তাদের হাতের আঙ্গুলের অবস্থান, বলের গতি এবং মাটির উপরে বলের সংস্পর্শে আনতে সচেতন হতে হবে। ভাল কন্ট্রোল এবং পিভটিং প্রয়োজন। এছাড়া এটি সঠিক শক্তি ও মাধ্যাকর্ষণের সঠিক সমন্বয় তৈরি করে। এভাবে বলের গতিবিধির সাথে খেলা সম্ভব হয়।

প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ

রিভার্স সুইং অর্জনের জন্য পেস বোলারদের নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়। সঠিক শারীরিক অবস্থান এবং বল ফেলা শেখা অপরিহার্য। প্রশিক্ষণের সময়ে বিভিন্ন গতি ও স্পিন ব্যবহার করতে হয়। এর ফলে বোলার রিভার্স সুইংয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ধারাবাহিক চেষ্টা ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে এই স্কিল অর্জন করতে হয়।

রিভার্স সুইং টেকনিক কী?

রিভার্স সুইং টেকনিক হল একটি বিশেষ বল করার পদ্ধতি, যেখানে বলটি বাতাসে বিপরীত দিকে ঘোরে। সাধারণত, বলটি একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত থাকে এবং অন্যদিকে মসৃণ থাকে। এতে বলটি ঘুরতে থাকা সময় আরও দ্রুত গতিতে চলে। রিভার্স সুইং বল সাধারণত ৩০-৮০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় ঘটে।

রিভার্স সুইং টেকনিক কিভাবে কাজ করে?

রিভার্স সুইং টেকনিক কাজ করে বলের সঠিক পুনরাবৃত্তিমূলক ঘূর্ণন ও বাতাসের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে। যখন বোলার বলটি ফেলে, আক্রমণাত্মক বাতাসের জন্য বলের উপরের অংশের দিকে বেশি ঘর্ষণ ঘটে। ফলে বলটি বাতাসকে টানে এবং বিপরীত দিকে ঘোরার জন্য প্রস্তুত করে। এই পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন করতে বোলারদের অনেক অনুশীলন প্রয়োজন।

রিভার্স সুইং টেকনিক কোথায় ব্যবহৃত হয়?

রিভার্স সুইং টেকনিক প্রাথমিকভাবে সীমিত ও বড় মাঠে ব্যবহৃত হয়, যেখানে বাতাসের প্রভাব বেশি থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যা বা রাতের ম্যাচগুলোতে এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী হয়, কারণ তখন বাতাসের পরিবর্তন ও বলের অবস্থার কারণে রিভার্স সুইং আরও স্পষ্ট হয়।

রিভার্স সুইং টেকনিক কখন প্রয়োগ করা উচিত?

রিভার্স সুইং টেকনিক সাধারণত তীব্র উইকেটে প্রয়োগ করা হয়, যেখানে বলের অবস্থা ভালো হয় এবং গতিশীলতার জন্য উপযুক্ত থাকে। সাধারণত এটি তৃতীয় বা চতুর্থ সেশনে প্রয়োগ করার জন্য আদর্শ, যখন বলটি পুরনো হয়ে যায় এবং এর অবস্থান পরিবর্তন ঘটে।

রিভার্স সুইং টেকনিককে কে প্রথম উদ্ভাবন করেন?

রিভার্স সুইং টেকনিক প্রথম উদ্ভাবন করেন পাকিস্তানি বোলার ওয়াসিম অ্যাকরম। তিনি ১৯৯০-এর দশকে এই পদ্ধতির কার্যকারিতা তুলে ধরেন। ওয়াসিম অ্যাকরমের অসাধারণ দক্ষতা অনুকরণ করে অন্যান্য বোলাররা এ প্রযুক্তি শিখেছিলেন এবং সেটি ক্রিকেটে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *